
চট্টগ্রাম: আদালতের নির্দেশ পাওয়ার দুই বছর পর ‘চট্টগ্রামের প্রাণ’ কর্ণফুলী নদীকে ‘গিলতে বসা’ আড়াই হাজার সরকারি-বেসরকারি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সদরঘাট থেকে অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান।
অভিযানে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তবে অভিযানের খবর পেয়ে আগেই নদীর পাড়ের অবৈধ কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে অনেকে। অনেকেই ক্রেন, গ্যাস কাটার, শ্রমিক দিয়ে নিজ নিজ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে।
উচ্ছেদ অভিযানে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নিচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা ভাঙার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বুলডোজার, স্ক্যাভেটার, পে-লোডার, ট্রাকসহ সরঞ্জাম দিয়েছে। ১০০ শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ করছে।
প্রথম দফার অভিযানে দুইশ মতো স্থাপনা উচ্ছেদ হলে ১০ একরের মতো জায়গা উদ্ধার হবে বলে জানান সহকারী কমিশনার তাহমিলুর।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি সমন্বয় সভার পর সোমবার থেকে অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, কোতোয়ালি, বাকলিয়া, চান্দগাঁও মৌজার ৩৬৮ এবং পূর্ব পতেঙ্গা মৌজার ১৭৪৪টিসহ ২১১২টি স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আলোচনা হয় সেদিনের সভায়।
অভিযানে নামার আগে শনিবার বিকালে নগরীর সদরঘাট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, কর্ণফুলীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান