
কাবুল: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রধারীদের হামলায় সাতজন ছাত্রসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৫জন ছাত্র ও নয়জন পুলিশসহ ৪৪ জন। সরকারি বাহিনীর হামলায় দুই অস্ত্রধারী হামলাকারী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ ও তিনজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রধারীদের হামলার পর পুলিশ রেইড বসালে প্রায় ১০ঘণ্টা গোলাগুলি ও অভিযান চলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে আটকে পড়া ছাত্র ও কর্মকর্তারা মুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দায়িত্ব এখনো কোন গ্রুপ স্বীকার করেনি।
কাবুলের পুলিশ প্রধান আবদুল রহমান রাহিমি জানিয়েছেন, ৭৫০ জন ছাত্র ও কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া হামলাটিকে জটিল বলে বর্ণনা করেছে।
হামলার পর সেখানে বিশেষ বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপদেষ্টাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। হামলায় আটকে পড়াদের মধ্যে একজন ছিলেন পুলিৎজার জয়ী ফটো সাংবাদিক মাসুদ হোসাইনি। তিনি টুইটারে হামলার অভিজ্ঞতার কথা বলে সাহায্য চান।
সেখানে ক্লাস নিতে যাওয়া হোসাইনি বলেছেন, কি ঘটেছে তা দেখতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে বেসামরিক পোশাকধারী একব্যক্তি তার দিকে গুলি ছোড়ে। এতে গ্লাস ভেঙ্গে যায়।
হামলাকারীরা প্রথমে একটি বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর গুলি করা শুরু করে। আফগান বাহিনী বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
কাবুলের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৫ সালে অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। এতে ১৭শ ছাত্র রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই খণ্ডকালীন পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করেন। সূত্র: বিবিসি।
প্রতিবেদন ও সম্পাদনা: সাইফুল ইসলাম