
ঢাকা: কারো দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে দায়িত্ব নেয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এখানে সরকার বা কারো প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। আমরা সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছি। সুতরাং কারো দ্বারা প্রভাবিত হবো না।’
তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছরের জন্য সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছি। আর সেই দায়িত্ব পালনে আপোসহীন ও অটল থাকবো। কারো প্রভাবের কাছে নত হবো না। সংবিধানের বিধান ও নির্বাচন পরিচালনার সব আইন-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলবো। সংবিধানের বাইরে কোনো কাজ করবো না। কোনো রকম প্রভাবকে সহ্য করা হবে না।’
সিইসি আরো বলেন, ‘বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জনে কাজ করবে নতুন নির্বাচন কমিশন। আমাদের কাছে একটাই চ্যালেঞ্জ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া। আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সবার আস্থা ফিরিয়ে আনবো।’
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘এখন থেকে আমরা সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমরা আর কোনো দল নয় দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালন করবো। আমি ৯৬ সালে জনতার মঞ্চে ছিলাম এটা সত্য নয়।’
১৯৭২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪৪ বছর দায়িত্ব পালন করা ১১ জন সিইসি ও ২৩ জন কমিশনারের রেখে যাওয়া দিক নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে বলেও সিইসি জানান।
প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে শপথ নেয়ার পর বিকালে সহকর্মীদের নিয়ে আগারগাঁওয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন ভবনে যান নূরুল হুদা। সিইসির কক্ষে তাদের অভ্যর্থনা জানান ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এরপর সবাইকে নিয়ে সিইসি হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন নূরুল হুদা।
এর আগে বিকাল ৩টার দিকে নব নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনারকে সুপ্রিমকোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
শপথ নেয়া চার নির্বাচন কমিশনার হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহাবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম।
শপথ নিলেন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার
প্রতিবেদক: প্রীতম, সম্পাদনা: জাহিদ