
নয়াদিল্লি: ভারত শাসিত কাশ্মীরে কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে মঙ্গলবার অন্তত ৫ জন নিহত হন। এদের মধ্যে রাইপানথান গ্রামের ৪ জন এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের লার্কিপোরা গ্রামের একজন।
৯ জুলাই থেকে কাশ্মীরে সহিংসতা শুরু হলে রাজ্যটির কয়েকটি স্থানে কারফিউ জারি করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক বিচ্ছিন্নতাবাদী জনপ্রিয় নেতা ২২ বছরের বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করার পর থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর উপত্যকা।
পরবর্তীকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। এদের বেশিরভাগই তরুণ। এছাড়া এই সহিংসতায় হাজারের বেশি আহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, পুলিশের একটি টহল দল বিক্ষোভকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করলে রাইপানথাম গ্রামে ৪ জন নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শী একজন ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, ‘লার্কিপোরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে পঞ্চম ব্যক্তি নিহত হন।’
খবরে বলা হয়, ১২ জন বিক্ষোভকারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার জানায়, নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের প্রতি অত্যধিক পুলিশি সহিংসতার তদন্ত করা হবে।
এর আগে ২০১০ সালে কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতবিরোধী বিক্ষোভে সৃষ্ট সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হন। পুলিশের গুলিতে কাশ্মীরি এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
৬০ বছরের বেশি সময় ধরে কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। ফলে এই অঞ্চল নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে দু’টি যুদ্ধ হয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরিরা ভারতীয় অন্যায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অনেকেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন। সূ্ত্র: বিবিসি
প্রতিবেদন: ফারহানা করিম, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ