
ঢাকা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ট্রাইবুন্যালে পৌঁছলে সোমবার সন্ধ্যায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে দুপুরেই আলোচ্য মামলার ২৪৪ পৃষ্টার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েব সাইটে দেয়া হয়। তবে বিচারিক আদালত অর্থাৎ ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলেও আসামির পক্ষ থেকে রিভিউর আবেদন হলে দণ্ড কার্যকরের জন্য তা নিষ্পত্তি হওয়া আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রিভিউ আবেদনে রায় বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে পারবে মীর কাসেম আলী।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করা না করার ওপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। তবে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা নাকচ করলে তার দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যু পরোয়ানাটি কারা কর্তৃপক্ষ হাতে পাওয়ার পর সেটি ফাঁসির আসামিকে পড়ে শোনানো হবে। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার(রিভিউ) আবেদন করতে পারবে আসামিপক্ষ।
মীর কাশেম আলী ষষ্ঠ ব্যক্তি যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে চূড়ান্তভাবে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। এর আগে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও এই ব্যবসায়ীকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে/জাই