
ঢাকা: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত দুইশ ১১ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে নদীর তীরের এসব স্থাপনা অপসারণ করে আগামী ১৩ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২১১ স্থাপনার বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদনের পর সোমবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানী শর্মা।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, কীর্তনখোলার তীরে ২১১ অবৈধ স্থাপনা ৬০ দিনের মধ্যে অপসারণ করে ১৩ নভেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বরিশালের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনজিল মোরসেদ।
পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ৬ মার্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে সব ধরনের মাটি ভরাট, প্লট বরাদ্দ ও দখল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এছাড়া এডিসিকে (রাজস্ব) সিএস এবং আরএস রেকর্ড অনুযায়ী কীর্তনখোলা নদীর অবস্থান নির্ধারণে কমিটি গঠন করে জরিপের মাধ্যেমে প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
জরিপ শেষে চলতি বছরের ৯ আগস্ট জেলা প্রশাসক নদীর তীরে ২১১ অবৈধ স্থাপনা আছে বলে প্রতিবেদন দেয়। এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার উক্ত আদেশ দেন।
প্রতিবেদন: ফজলুল হক, সম্পাদনা: মাহতাব শফি