
ঢাকা: বিপিএলে আবারো পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৩ রানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। আগে ব্যাট করে খুলনা ১৪৫ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছিল কুমিল্লার সামনে। সে রান তাড়া করতে গিয়ে নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারিয়ে টানা তৃতীয় হারের মুখে পতিত হয় কুমিল্লা। তাদের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ১৩১ রান।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংসটি আসে দলটির উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকে। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। খুলনার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। খুলনার এটা তৃতীয় জয়। চার ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে খুলনা। আর রংপুর রাইডার্স দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছে বরিশাল বুলস।
বিপিএলে আবারো লো স্কোরিং ম্যাচ দেখেছেন দর্শকরা। আগের ম্যাচটিই ছিল বিগ স্কোরের। ফলে লো স্কোরিংয়ের বেড়া জাল থেকে বেড়িয়ে আসবে বিপিএল, এমনটাই আশা করেছিলেন সবাই। কিন্তু সেটা আর হয়নি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৪৪ রানেই আটকে দিয়েছে খুলনা টাইটান্সকে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারীত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে মাহমুদউল্লাহর দল। শুরুটা ভালো করলেও কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি ও পাকিস্তানি বোলার সোহেল তানভীরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত আর বিগ স্কোর গড়তে পারেনি টাইটান্স।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে মাঠে নামে খুলনা টাইটান্স। শুরুটা দুর্দান্ত করেন দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও হাসানুজ্জামান। আক্রমনাত্মক খেলা শুরু করেন ফ্লেচার। কুমিল্লার বোলারদের বিরুদ্ধে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি নিজেই।
হাসানুজ্জামানের ব্যাট ছিল কিছুটা শান্ত। ওপেনিং জুঁটিতে দলীয় স্কোরে জমা করেন ৪৫ রান। ১৭ বলে ২৩ রান করে ফ্লেচার বিদায় নিলেও হাল ধরে রেখেছিলেন হাসানুজ্জামান ও শুভাগত হোম। কিন্তু স্কোর লাইনটা ৯২-তে আসার পরই ইনিংসের ক্ষয় শুরু খুলনার। নামের পাশে ১৬ রান জমা করে শুভাগত মাশরাফি বিন মর্তুজার শিকারে পরিনত হলে টাইটান্সের রানের চাকায় মরচে ধরে যায়।
সেখান থেকে রান দলের স্কোর বোর্ডে ৪৬ রান জমা করতে গিয়ে আরো পাঁচ উইকেট হারালে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্নটা ধুলিসাৎ হয়ে যায় খুলনা টাইটান্সের। ওপেনার হাসানুজ্জামান বিদায় নেন ৩৭ রানে। ৩০ বলে অর্ধজন বাউন্ডারি দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। আজও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জ্বলে উঠতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১১ রান।
আজ মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানরা ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। পুরান (১২), অল কাপালি (৩), আরিফুল হক (৭) আর মোশাররফ হোসেন করেন (২) রান। টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র কুপার দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পেরেছেন। ইনিংসের শেষ বলে এ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরেছেন সোহেল তানভীরের শিকারে পরিনত হন। ফলে ৯ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৪ রান। কুমিল্লার হয়ে মাশরাফি ও সোহেল তানভীর তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রতিবেদক: কবির, সম্পাদনা: জাহিদ