
মিশুক মনির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ‘ঐক্য গড়ো বাংলাদেশ, সাম্প্রদায়িকতা হবে শেষ’ স্লোগানে সাংস্কৃতির জোটের তিন দিনের বিজয় উৎসবের পর্দা নামলো শুক্রবার। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিকেল চারটায় শুরু হয়। এ আয়োজনে প্রতিদিনের মতো ছিল দলীয় ও একক সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয়েছে মৈত্রী ও আরণ্যকের পথনাটক।
বিজয় উৎসবের তৃতীয় ও সমাপণী দিনে জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে এ উৎসবে ছিল সাম্প্রদায়িকতাকে নির্মূল করার আহ্বান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে মঞ্চ করে সেখানে একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন শিল্পীরা। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হাজির হয়েছে সেখানে।
এর আগে সকালে সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নেয়া অন্যতম দলগুলো হচ্ছে দলীয় সংগীতে সুরধ্বনি, দৃষ্টি; দলীয় আবৃত্তিতে স্বরশ্রুতি, নৃত্যে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন। ছিল শিশুদের সংগঠন সপ্তসুরের পরিবেশনা। এ ছাড়া পথনাটক করে প্রাচ্যনাট।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক জোট বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে টিএসসি প্রদক্ষিণ করে।
শহীদ মিনারের মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একই সঙ্গে এ উৎসবের অনুষ্ঠান চলছে শহরজুড়ে। একই সঙ্গে চলছে জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনা। এসব সাংস্কৃতিক আয়োজন সমাজ থেকে অশুভকে দূর করতে মানুষকে উজ্জীবিত করে বলে মনে করেন সংশ্লিটরা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস জানান, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেন। সে বিজয়ের সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মানুষের মাঝে জাগানোর জন্য ও সাম্প্রদায়িতাকে নির্মূলের জন্যই ছিল আমাদের জোটের এ বিজয় উৎসবের আয়োজন।
সম্পাদনা: জাহিদ