
ঢাকা: কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন বয়কট করবে না জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বিএনপিসহ অন্যান্য শরিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘একবার নির্বাচন বয়কট করে ভুল করেছি। আমরা আর নির্বাচন বয়কট করবো না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকে লড়ে যাব। একটা দলের নেত্রী সরকারের প্রধান থাকবেন, আরেক দলের নেত্রীকে সে সেন্ট্রাল জেলে রুম খালি করে বসিয়ে অপমান করা হবে এটা একদমই মেনে নেয়া যায় না।’
সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে শনিবার বিকেলে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিমুহূর্তে সংবিধান লঙ্ঘন করছে। সকাল, দুপুর, রাত সংবিধান লঙ্ঘন করছে। কোথায় লেখা আছে, ঘোষণা দিয়ে এমপি (সংসদ সদস্য) হওয়া যায়। এই সরকারে বেশির ভাগ এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত।
ওই অনুষ্ঠানে জোটের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার উস্কানি দিয়ে নির্বাচন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিএনপিকে আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করছে, সেই ফাঁদে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট পা দেবে না। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে আবারো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির দাবি জানান জোটের নেতারা।
এর আগে সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। পরে নির্বাচনকে ঘিরে চলমান সংকট আন্দোলনের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয় সুনিশ্চিত বলেও দাবি করেন তারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সংঠনের সদস্য সচিব এ এম মাহবুব উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান