
ডেস্ক: স্মার্টফোনটি দিয়ে কি কি করা যায় এমন প্রশ্নে সবার উত্তর হবে, গেইম খেলা, মেইল করা ফেসবুক-ইন্সট্রাগ্রাম অথবা টুইটার চালানোসহ নানান ধরনের অ্যাপসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম সারা যায়। কিন্তু কেউ যদি বলে রোগ নির্নয় করবে স্মার্টফোন, তাও আবার যদি হয় ক্যানসার তাহলে সেটা বিশ্বাস হবে!
হ্যাঁ, এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। তাদের মতে ক্যানসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় থাকা পর্যন্ত(ফার্স্ট স্টেজ) এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে অনেকেই প্রথম পর্যায়ে ধরতে না পারার কারণেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ক্যান্সার।
গবেষকদের দাবি, তারা এমন একটি সহজে বহনযোগ্য যন্ত্র (পোর্টেবল ল্যাবরেটরি) তৈরি করেছে যা স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই ক্যানসারকে চিহ্নিত করে ফেলতে পারবে। বিভিন্ন নমুনাকে বিশ্লেষণ করে ধরে ফেলবে ক্যানসার বায়োমার্কারকে। আর পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে স্মার্টফোনে থাকা পোর্টেবল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে এবং এর দামও হবে সাশ্রয়ী।
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির এই গবেষক দলটির দাবি অনুযায়ী, ক্লিনিকে যে বায়োডিটেকশন টেকনোলজি ব্যবহার হয়, সেটাকেই এই স্মার্টফোনের পোর্টেবল ল্যাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। অ্যাম্বুলেন্স রোগীকে নিয়ে যেতে যেতে বা ডাক্তারের চেম্বারে বসেই দ্রুততার সঙ্গে পরীক্ষা করিয়ে নেয়া যাবে।
তারা জানিয়েছেন, এ জন্য আট চ্যানেলের একটি স্মার্টফোন স্পেকট্রোমিটার তারা তৈরি করেছেন। এই স্পেক্টোমিটার শনাক্ত করে ফেলবে interleukin-6 (IL-6)-কে। যা ফুসফুস, প্রস্টেট, লিভার ও ব্রেস্ট ও এপিথেলিয়াল ক্যানসারের বায়োমার্কার। গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, নমুনার রাসায়নিক চরিত্র বিশ্লেষণ করে সহজেই স্পেকট্রোমিটার বলে দেবে ক্যানসার কি না।
প্রাথমিকভাবে আইফোন ৫-এ কাজ করবে এই পোর্টেবল ডিভাইসটি। খুব শিগগিরই অন্যান্য স্মার্টফোনেও ডিভাইসটি কাজ করতে পারে, তার চেষ্টা চলছে। এই গবেষণার বিশদ প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল বায়োসেন্সরস ও বায়ো ইলেকট্রনিক্সে।
গ্রন্থনা: এম.রেজাউল করিম, সম্পাদনা: জাহিদ