
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ক্ষমতার জন্য ‘কদমবুচি’ করা বিএনপির কাজ নয় এটি আওয়ামী লীগের কাজ। এখন যদি টিক্কা খান কবর থেকে উঠে আসে তারও কদমবুচি করতেও ছারবে না এই অবৈধ সরকার। আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে কদমবুচি করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বন্ধক রেখে দাসত্বে পরিণত করেছে দেশের জনগণকে।
আওয়ামী লীগ সরকার জালিয়াতির সরকার উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘এই সরকার জালিয়াতির সরকার। দেশের জনগণের সাথে জালিয়াতি করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বন্ধক রেখে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে যাচ্ছে।’
শুক্রবার রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ২৪ মার্চ সংবিধান লংঘন করে অবৈধ ক্ষমতা দখলের কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
দেশে জঙ্গিবাদের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকার একের পর এক নাটক সাজাচ্ছে আর করছে। কারণ, দৃষ্টি জঙ্গিবাদের দিকে দাও ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির দিকে নয়। ভারতকে খুশি রাখতে পারলেই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে।’
রিজভী আহমেদ আরো বলেন, ‘তিনি ( প্রধানমন্ত্রী) জনগণকে তালাক দিয়েছেন। তাই জনগণের ভাবনা তিনি ভাবেন না। ভারতকে তালাক দিতে পারবে না। তাই ভারতের কথায় এখন আওয়ামী লীগ নাচছেন।’ এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি ভারতের সাথে করা হলে দেশের জনগণ তা মানবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুন লাগার পিছনে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের হিসাব, রিজার্ভ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে সেই ১২, ১৩, ১৪ তলাতেই আগুন লাগলো। এই ঘটনা শুধু রহস্যজনক নয়, সরকারের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।’
‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট নয়, সুপরিকল্পিত ভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজ পত্র। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের লুট হয়ে যাওয়া টাকা ফিলিপাইন সরকার আর ফেরত দিবে না। জনগণের কাজে জবাব দেয়ার ভয়ে পরিকল্পিত ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ব্যাংক’ উল্লেখ করেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুন্সি ফজলুল বাসিদ আঞ্জু, নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম।
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: ইয়াসিন