
সিলেট: কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর বদরুল অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম শারাবান তহুরার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলমের হামলার শিকার হন সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা।
চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খাদিজাকে হত্যার চেষ্টা করেন বদরুল। পরে বদরুলকে ধাওয়া করে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন।
খাদিজাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে আনা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সেদিন দুপুরে খাদিজার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেশ কদিন পর অস্ত্রোপচার করা হয় তার হাতে। স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. রেজাউস সাত্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন খাদিজা।
হামলার ঘটনার পরদিন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে শাহপরান থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় বদরুল আলমকে একমাত্র আসামি করা হয়।
খাদিজার বাবা মো. মাশুক মিয়া বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে বলেন, ‘আমার মেয়ের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে সে তার বাম পাশ নড়াচড়া করতে পারে না। খাদিজার মতো শান্ত-নিরীহ স্বভাবের একটি মেয়ের জীবন যে নরপিচাশ নষ্ট করেছে, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে আর কোনো বাবাকে আমার মতো কষ্ট পেতে না হয়।’
গ্রন্থনা: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: প্রণব