
সিলেট: কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম শারাবান তহুরার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বিচারক।
এর আগে বুধবার হাসপাতাল থেকে বদরুলকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে আদালতে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ।
এদিকে, খাদিজার সৌদি প্রবাসী পিতা হত্যাচেষ্টাকারী বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাদি করেছেন।
অপরদিকে, খাদিজা আক্তার নার্গিসের অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার ব্লাড প্রেসার ও পালসে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বুধবার স্কয়ার হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘খাদিজার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। বলা যায় কোনো উন্নতিও হয়নি আবার অবনতিও হয়নি। তার ব্লাড প্রেসার ও পালসেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
ডা. নাজিমউদ্দিন বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা সম্ভব না। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলেও আমরা এখনও আশাবাদী। তার জন্য সবাই প্রার্থনা করুন।’
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে সিলেটের এমসি কলেজে বিএ (পাস) পরীক্ষা দিতে এসে এই হামলার শিকার হন খাদিজা। এ ঘটনায় হামলাকারী বদরুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুনাইঘাতি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রতিনিধি, সম্পাদনা: জাহিদুল ইসলাম