
ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন জানালে আদালত তাদের আবেদন আমলে নিয়ে এ সময় দেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া মামলা। বাদী পক্ষের (দুদকের) যে প্রধান সাক্ষী নূর মোহাম্মদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই মামলার কোনো সম্পর্ক নেই এবং যে টাকার কথা বলা হয়েছে সেখানে সরকারের কোনো টাকা নেই।
আইনজীবী বলেন, পরবর্তী সাক্ষগ্রহণে এই সাক্ষীকে আর আদালতে হাজির করা হয়নি। আমরা এই সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে জেরা করার অনুমতি চেয়েছি এবং মহামান্য আদালত আগামী ১২ জানুয়ারি সময় দিয়েছেন।
এদিকে দুদুকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলার করযক্রমকে দীর্ঘায়িত করার জন্যই বারবার নানা কারণে সময় চেয়ে আদালতে সময় নষ্ট করছেন। যে সাক্ষীকে হাজির করতে বলছে তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খালেদা জিয়ার কোনো নামই উল্লেখ করেনি। তাহলে তাকে জেরা করে কি লাভ। তার পরেও আদালত তাদের প্রতি সদয় হয়ে আবারও সময় দিয়েছেন।
এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে এভাবে আদালতে এনে বসে রাখাটা মানবতা বিরোধী। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তাকে সকাল থেকে দুপুর পরযন্ত আদালতে বসিয়ে রাখা উচিত হয়নি। তিনি নামাজ পড়তে পারেননি, দুপুরের খাবার, ঔষুধ কিছুই খেতে পারেননি।
আদালতের প্রথম অধিবেশনে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলা শেষ হয় এবং দুপুরের খাবারের আধা ঘণ্টার বিরতি পরেই জিয়া অরফানেজ মামলার শুনানি খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই শুরু হয়।
প্রতিবেদক: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: জাহিদ