
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের ১৬ জুন পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত এই আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার মামলাটির চতুর্থ সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আবুল খায়েরকে জেরা করেন আসামিপক্ষ। প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান, খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে বোরহান উদ্দিন এবং মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে রেজাউল করিম সরকার পর্যায়ক্রমে তাকে জেরা করেন।
এরপর নতুন তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তারা হলেন- পঞ্চম সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের কুমিল্লা কর্পোরেট শাখার ডিজিএম হারুন অর রশিদ, ষষ্ঠ সাক্ষী প্রাইম ব্যাংকের গুলশান শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন এবং সপ্তম সাক্ষী প্রাইম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদ বিন করিম। তাদের আসামিপক্ষের জেরা ও নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ-জেরার দিন ১৬ জুন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রথম সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদ, দ্বিতীয় সাক্ষী মামলাটির রেকর্ডিং অফিসার এসএম গাফফারুল ইসলাম এবং তৃতীয় সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার শফিউদ্দিন মিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামির সংখ্যা মোট ছয়জন। আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির ছিলেন এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে হাজিরা দেন তাদের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এসজি/জাই