
ঢাকা: বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের তারিখ ফের পিছিয়ে আগামী বছর পাঁচ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ আদালতে হাজিরা দিতে এসে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা আবারও সময় চান এবং আদালত তা আমলে নিয়ে এসময় ধার্য করেন।
এখন চলছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা।
বৃহস্পতিবার সকালে খালেদা জিয়ার আবেদনে তৃতীয়বারের মতো অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত।
সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে বেলা ১১টায় আদালতে হাজির হন খালেদা।
বৃহস্পতিবার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত লিখিত বক্তব্য পাঠের দিন ধার্য ছিল। ১ ডিসেম্বর লিখিত বক্তব্য পড়তে শুরু করেন খালেদা। তবে এরপরের দুই ধার্য দিনে আবেদন জানিয়ে এক সপ্তাহ করে সময় বাড়িয়ে নেন। সর্বশেষ ১৫ ডিসেম্বর অনুপস্থিত থাকায় ২২ ডিসেম্বর খালেদাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেন আদালত। অন্যথায় তার জামিন বাতিল হবে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: মাহতাব শফি