
ঢাকা: বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানি ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বাদি এবং আয়ু দুদুকের পরিচালক হারুন অর রশিদ কে জেরা করা শেষে বেগম জিয়া আগামী দুই সপ্তাহ সময় চায় এবং আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে সময় দেন।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহাবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা আজ আয়ুকে জেরা করি। তাকে জেরার প্রথম প্রশ্নই ছিল আপনি কি অবৈধভাবে চাকুরী করছেন। তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং ২০০৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় তাকে দুদুকে রাখা হয়নি। তার ক্ষোভেই বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার বাদি হয়েছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু মামলার বাদি বৈধ সেহেতু কোনো মামলায় হয়নি বলেও জানান।
আগামী ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন।
অপরদিকে দুদুকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বাদি পক্ষকে আসামি পক্ষ জেরা করে। জেরা শেষে খালেদা জিয়া সময় চাইলে আদালত সময় দেন।
বেগম জিয়ার আইনজীবীদের সমালোচনা করে তারা বলেন, তারা যতই আতাপাতা বলুক এসবে কান দিব না। বাদি অবৈধভাবেই চাকরি করেছেন।
দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে উপস্থিত হন।
খালেদা জিয়া আসার পরই তার আইনজীবীরা তাকে স্বাগত জানায়। এসময় বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেওয়া উপলক্ষে বকশিবাজার এলাকার চারপাশে বিএনপি নেতাকর্মীদের যথেষ্ট ভিড় রয়েছে।
এদিকে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ আদালতের চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অন্য তিন আসামি হলেন জিয়াউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম খান ও হারিছ চৌধুরী।
অপরদিকে, ২০০৮ সালে এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দায়ের করা হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। এ দুটি মামলাই বর্তমানে ওই বিশেষ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: মাহতাব শফি