
ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর শেষ জজ আদালত-৩ এ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিন হাজিরা না দিলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন বাতিল করা হবে বলেও জানান আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জামাদার এ নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
এর আগে বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তিনি আত্মপক্ষের সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে আদালতে বৃহস্পতিবার যাবেন না।
৮ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার পুনঃবিবেচনার আবেদন মঞ্জুর করে খালেদার অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
পুনঃবিবেচনার সময়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১ ডিসেম্বর চ্যারিটেবল মামলার রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাতিল করে পুনরায় নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন। তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। তাই আমরা খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলাটির আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য মুলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন দাখিল করেছি।
১ ডিসেম্বর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত হন। এসময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনান।
বিচারক খালেদা জিয়াকে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (খালেদা) নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: মাহতাব শফি