
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো ডিভিশন দেয়া হয়নি। তাকে পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ কারাগারে রাখা হয়েছে। তার কোনো ক্ষতি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গণতান্ত্রিক অন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। মিথ্যা মামলায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে কারাদণ্ড দেয়ায় সরকারকে ধিক্কার দিচ্ছে দেশবাসী।
এ সময় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘিরে সারাদেশে সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়াসহ সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান ফখরুল।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতেই এই বৈঠক করেছেন দলটির নেতারা।
খালেদার গুলশান কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান জানান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, আবদুস সালামসহ ৬০ জনের বেশি নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। রায়ে মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং তারেক রহমানসহ অন্য চার আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিচারক।
রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার সারাদেশে বাদ জুমা বিক্ষোভ এবং শনিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: জাই