
ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, বিএনপি নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ রবিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে নিজ কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমাদের বিশেষ নজর আছে। একজন চিকিৎসক ও একজন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা আছে। তারা তাকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে দেখে থাকেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে আছেন। তিনি এখন অসুস্থ। তার অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তারা আগের মতো আমাকে জানাতে এসেছিলেন। তারা তাদের চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য তার পছন্দের হাসপাতালে নেওয়ার কথা আগের মতো এবারও বলেছেন। তবে আগে কেবল মুখে বললেও এবার তারা লিখিত আবেদন করেছেন। আগে কেবল ইউনাইটেড হাসপাতালের কথা বললেও এবার তারা এ্যাপোলো হাসপাতালের কথাও বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে (আইজি প্রিজন) দায়িত্ব দিয়েছি। তারা যত দ্রুত সম্ভব একটি বোর্ড গঠন করবেন। এই বোর্ডে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, আমাদের চিকিৎসক ও কারা চিকিৎসকরা থাকবেন। তারা যদি মনে করেন সরকারি হাসপাতালে এই সব চিকিৎসা ও সেবা নেই তখন তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই সুপারিশ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলকোড অনুযায়ী পছন্দের হাসপাতালে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে বোর্ড সুপারিশ করলে বা আদালত যদি নির্দেশনা দেয়, সেটা আলাদা কথা। আমরা তাদের বলেছি, জেলকোড অনুযায়ী আমরা যা যা করা সম্ভব তার সবই করবো। দেশের যেকোন সরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার ‘অসুস্থতার’ কথা তুলে ধরে তার সুচিকিৎসার দাবি জানাতে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন বিএনপি নেতারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেল ৩ টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তারা বৈঠকে বসেন। প্রতিনিধি দলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি সদস্যরা হলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, সম্পাদনা: এম কে রায়হান