
সজিব ঘোষ, কুড়িগ্রামঃ দেশের সীমানা প্রায় শেষ। দেখা যায় ভারতের কাঁটাতার। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদীতেই জেগে উঠেছে একটি চর। নাম তার কালাইয়ের চর, যেখানে ৬০০ পরিবারের বাস। ব্রহ্মপুত্রের বুকে মাছ ধরাই তাদের কাজ। এই মুহুর্তে চারপাশে যতদূর চোখ যায় শুধু পানিই দেখা যায়। অনেকটা ভাঙ্গা গড়া জীবনের মতই।
এই পল্লীকে খুব কাছ থেকে দেখলে মনে পড়ে যাবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র কথা। দেশের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখতে গিয়ে এমন চিত্রই ফুটে উঠে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’র কাছে। ছবিঃ জীবন আহাম্মেদ।
সূর্য জাগার আগেই জেগে উঠে এখানকার মানুষ। প্রতিদিনই দেখে নতুন করে বাঁচার আশা। নতুন দিনের সঙ্গে নতুন এক স্বপ্নেরও জন্ম হয় এখানে। বাঁচা মরার এই লড়াইয়ে খুব বেশি পরিবর্তন নেই তবুও পথ চলা, জীবনের সঙ্গে লড়ে যাওয়া।
কাশেম আলী জানালেন এই অঞ্চলের চিরচারিত কিছু রূপেরে কথা। তিনি বলেন, ‘এখানে সবাই মাছ মারে। মাছ মারাই বড় পেশা, এছাড়া আর কিছু করার নাই। যাদের নিজের নৌকা আছে তারা কিছুটা প্রাণ পায়, বাকিরা কামলা দিতে দিতেই শেষ।’
সুরুজ মিয়াও এই অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনিও সুর মেলালেন কাশেম আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখন চারদিকে পানি অনেক। যখন পানি থাকে না, তখনও আমাদের এই কাজই করতে হয়। আর যারা করে না তারা শহরে চলে যায় কাজ করতে।’
এভাবেই চলছে জীবন যাত্রা। তবুও এখানে বাঁচে স্বপ্ন, সবাই দেখে নতুন আশা। হয়তো কোনো দিন ঘুরবে নিয়তির চাকা।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসজি/পিএসএস