গভীরতার সাত, সালমান রুশদী

ডেস্কঃ আজ, ১৯ জুন, বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদীর জন্মবার্ষিকী। নামের পাশে খেতাব, পুরষ্কার ও উপাধির লম্বা তালিকার সাথে ইরানে প্রবেশ করা মাত্র মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ফতওয়াও জারি করা আছে তার ওপর। বিশ্বব্যাপী তার এই পরিচিতি তাই স্থানভেদে বুকার প্রাইজ অথবা নাইটহুড-এর মত সুখ্যাতি, কোথাও বা কোন শীর্ষ সন্ত্রাসির কুখ্যাতির চেয়েও ঘৃণিত। দীর্ঘ দশ বছর আত্মগোপনে থাকা জীবন জুয়ারি এই নির্বাসিত লেখকের ব্যাপারে আরো সাতটি চমকপ্রদ তথ্য রইলো আজ আপনাদের জন্য।
- রুশদীর প্রথম উপন্যাস গ্রিমাস (১৯৭৫) পাঠক ও সমালোচক সমাজে খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। এটি ছিল মূলত একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।
- প্রথম দু’টি উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত রুশদী একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করতেন, পারতপক্ষে যে কর্মজীবনের কথা তিনি এড়িয়ে চলতে চান। তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ পৃথিবীজোড়া বহুল পঠিত হওয়ার পর তিনি তার কপিরাইটার জীবনকে বিদায় জানান।
- দেশভাগ কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখে, ঠিক রাত বারোটায় জন্ম নেয়া শিশুদের জাতীয়তা নিয়ে যে যৌক্তিক দ্বিধা কাজ করে, তাই ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাসের মূল বিষয়। অনেক সাহিত্য সমালোচকের মতে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ এর অর্ধেকটাই রুশদীর আত্মকাহিনী। তবে লেখক মোটেও উপন্যাসটিকে নিজের জীবন কাহিনীর সাথে মিশিয়ে দেখতে চান না।
- বিখ্যাত ব্যান্ড ইউ টু’র গান ‘গ্রাউন্ড বিনিথ হার ফিট’ সালমান রুশদীর একই নামের উপন্যাস থেকে অনুপ্রেরিত।
- সালমান রুশদীর উপন্যাস ‘দি স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর তার ওপর জারি করা হয় ফতোয়া। তবে মুসলিম সমাজের দ্বেষ সৃষ্টির পেছনে এ ছাড়াও আরো একটি বড় কারন হলো, মুসলমান পরিবারে জন্ম নেয়া রুশদীর ধর্মত্যাগ ও নাস্তিক্য। অনেকেই দাবী করেন ইংল্যান্ডে বসবাস শুরু করার পর সে তার দেশ, অতীত ও ঐতিহ্য ভুলে বেঈমানী করেছেন।
- প্রতি বছর নিয়ম করে ইরান কর্তৃক মৃত্যুদন্ডের ঘোষণা মনে করিয়ে দেয়া হয় রুশদীকে, তবুও তিনি লেখা থামাননি। নয়টি উপন্যাস রচনার পাশাপাশি নিয়মিত প্রবন্ধ লিখছেন ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে।
- রুশদীর ব্যক্তিগত জীবনেও রয়েছে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন। বহু মডেল ও অভিনেত্রীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত বিয়ে করেছেন চারবার।
নিউজনেক্সটবিডিডটকম/এসকেএস/টিএস