
ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে আধিপত্য বিস্তার, প্রতিপক্ষের কর্মীদের মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বক্স হলে ছাত্রলীগের রাবি শাখা সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
হল ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক হলগুলোতে অধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রতিটি হলে রাজনৈতিক ব্লক তৈরি করছে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় মাদার বক্স হলে রাজনৈতিক ব্লক তৈরির জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে অতিথি কক্ষে সভা করেন ছাত্রলীগ কর্মী ও গোলাম কিবরিয়ার খালাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন। সভায় উপস্থিত বাকি গ্রুপের কর্মী সালাম ও সাব্বিরকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে সাদ্দাম। তারা যথাযথ উত্তর না দিতে পারায় তাদেরকে পেটানো শুরু করে সাদ্দাম। এঘটনা ছাত্রলীগের মধ্যে জানাজানি হলে তাদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সাদ্দামসহ সভাপতি গ্রুপের সদস্যদের হলের ভিতর অবরুদ্ধ করে হল গেটে তালা লাগিয়ে বাইরে অবস্থান নেয় বাকি গ্রুপের কর্মীরা।
এরপর রাত ১২টার দিকে গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ১৫০-১৬০ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেয়। দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে রাত সাড়ে ১২টায় গেটের তালা খুলে দেওয়া হয়। এসময় সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলের তৃতীয় ব্লকের সামনে গিয়ে ১০ মিনিট পর পর দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
জানতে চাইলে সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমার গ্রুপের ছেলেরা বাকি গ্রুপের দুই জন কর্মীকে মারধর করায় বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা তৈরি করতে চাচ্ছিলো। পরবর্তীতে ঘটনার মীমাংসা হয়েছে।
তবে ঘটনার মীমাংসা হয়নি দাবি করে সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা আমার কর্মীদের মারধর করে ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য কায়েম করতে চাচ্ছে। এমন ঘটনা আমি মেনে নিতে পারি না। যারা আমার কর্মীর ওপর আঘাত করবে তারা ছাড় পাবে না।
প্রতিবেদক: আলী ইউনুস (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), সম্পাদনা: ইয়াসিন