
ঢাকা: ভারত থেকে কেউ যেন অবৈধভাবে গরু আনতে না পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকার গরু ব্যবসায়ীদের সচেতন করার কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজিবি।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, প্রতিবেশি ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনা বন্ধ হলে, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনাও বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মারা না যান সেজন্য সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘এই গরু পাচার নিয়েই কিন্তু বর্ডারে ম্যাক্সিমাম কিলিং হচ্ছে। আমরা এই কিলিং বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছি।’
কেউ যাতে গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত না হয়, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য এ প্রচারণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে অন্তত ৪৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ সংখ্যা নয়জন।
অবশ্য সীমান্তে নিহতদের বেশিরভাগই যে গরু চোরাকারবারী এ ধারণার সঙ্গে অনেকেই একমত নন।
বিভিন্ন সময় খবরের কাগজের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কৃষক অথবা নিরীহ গ্রামবাসীও প্রাণ হারাচ্ছেন বিএসএফের হাতে।
মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, ব্যক্তিগতভাবে তিনি ভারত থেকে গরু আনার সম্পূর্ণ বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানকার লোকজন যদি ভারতের গরুর দিকে না তাকায়, বা ভারত থেকে গরু আসাটা যদি বন্ধ করা যায়, তাহালে সীমান্তে কিলিং অলমোস্ট জিরোর কোটায় চলে আসবে।’
উত্তরাঞ্চলীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন গরু ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জানালেন, তিন বছর আগে ভারত থেকে যত গরু বাংলাদেশে আনা হতো এখন সে সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে।
সীমান্তে কিছু করিডোর দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় গরু আনা হয়। তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় করিডোর ছাড়া কোন গরু আসে না।’
কিন্তু বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, করিডোর ছাড়াও অন্য জায়গা দিয়েও বাংলাদেশে গরু আনার চেষ্টা করা হয়। সূত্র: বিবিসি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/জাই