
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিকসহ ১১ জন নিহত ও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে পলাশবাড়ীর ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সরকার ফিলিং স্টেশন ও দুপুর ১২টার দিকে জুনদহ এলাকায় এ দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে।
পলাশবাড়ী থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, রংপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জগামী এস এন ট্রাভেলসের একটি রির্জাভ বাস পলাশবাড়ীর সরকার ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ সামনের চাকা পাংচার হয়ে যায়। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলিকে (ভটভটি) ধাক্কা দেয় বাসটি। ট্রলিতে থাকা তিন নির্মাণ শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া পর মারা যান আরও একজন।
নিহত শ্রমিকেরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই গ্রামের জাকির হোসেন (২৫), একই উপজেলার শিবপুর গ্রামের খসরু মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের রাজু মিয়া (২৪)। আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পৃথক ঘটনায় দুপুরের দিকে রংপুরগামী রড বোঝাই একটি ট্রাক গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ এলাকায় পৌঁছানোর পর সড়কে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ট্রাকটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি যাত্রীবাহী অটোবাইককে ধাক্কা দিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ট্রাক ও অটোবাইকে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত ও ১০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুই জন নিহত হয়।
পলাশবাড়ী থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে এসএন ট্রাভেলস নামের যাত্রীবাহী একটি বাস রংপুর থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসটি পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের সরকার ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে বাসের একটি চাকা ফেটে যায়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় বাসটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনচালিত ট্রলিকে (ভটভটি) ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ট্রলির তিন নির্মাণশ্রমিক নিহত হন। এ ছাড়া ট্রলি ও বাসের আরও অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন।
দুটি দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম। তিনি জানান, বাসের ধাক্কায় ট্রলির নিহত শ্রমিকদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, বাসটি দুর্ঘটনাস্থলে রেখে চালক পালিয়ে গেছেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান