
ঢাকা: গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মোঃ রাফসান হোসেন ওরফে রুবেল বাড্ডার ত্রাস ছিল। সে ওই এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী, ধর্ষক, ডাকাত ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
শনিবার কাওরান বাজারে র্যারবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন র্যা ব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ।
তিনি বলেন, শুধু গারো তরুণীকে ধর্ষণ নয়, রুবেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, ভয় ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকদ্রব্য ও সন্ত্রাসী ঘটনায় ৮ টি এবং রামপুরা থানায় ১ টি অস্ত্র মামলাসহ মোট ০৯ টি মামলা রয়েছে।
কর্নেল তুহিন বলেন, ‘রুবেল প্রায়ই তার সহযোগীদের নিয়ে নির্জন রাস্তায় চলাচলের সময় মেয়েদের উত্যক্ত করতো। অনেক সময় বহিরাগত/স্থানীয় কোন যুবক-যুবতী একসাথে বাড্ডা এলাকায় বেড়াতে গেলে রুবেল তাদের ফাঁদে ফেলে বা জিম্মি করে (স্থানীয়ভাবে যাকে তারা ফিটিং দেয়া বলে) সর্বস্ব লুটে নিয়ে যেতো, এমনকি ধর্ষণ করতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ২৫ অক্টোবর বাড্ডায় গারো তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় শুক্রবার রাতে বিমান বন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিনসহ তার অন্য সহযোগীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে কর্নেল তুহিন বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই গারো তরুণী তার হবু স্বামী রিপন ম্রং এর সঙ্গে দেখা করতে বাড্ডার একটি মেসে যায়। এ সময় মেসের ম্যানেজার হানিফ তরুণীকে দেখে মেসের বাসিন্দা নাজমুল, সালাউদ্দিন, জয়নালকে ডেকে বিষয়টি জানায়। মেসে মেয়ে নিয়ে আসায় তারা তরুণীর উপস্থিতিতেই রিপনকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে। এরই মধ্যে সালাউদ্দিন স্থানীয় সন্ত্রাসী রুবেলকে ফোন করে ডেকে আনে। এরপর তারা ‘ফিটিং’ দিয়ে ওই তরুণী ও রিপনের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রুবেলকে সহযোগিতা করে আলামিন ও সালাউদ্দিন।’
ঘটনার দুই দিন পর শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাড্ডা থানায় নিজে বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে রুবেল, সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামি করা হয়। টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার ওই তরুণী উত্তর বাড্ডার একটি বিউটি পার্লারে চাকরি করেন।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: জাবেদ