
বিশেষ প্রতিনিধি,
ঢাকাঃ দিনাজপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের নিরাপত্তা প্রহরী মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরাফাত হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্ট্যাম্প করে চেক দিয়েও টাকা নিয়েছে গার্ড মামুন। তবে এই স্ট্যাম্পে ধার বাবদ ঋণ নেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও মুলত চাকরি দেওয়ার কথা বলেই ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গার্ড মামুন।
অভিযোগকারী আরাফাত এবং স্থানীয় গম ও ভূট্টা গবেষণা কেন্দ্রের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায় গার্ড মামুনের বাড়ি বগুড়া জেলায়, সেখানকার স্থানীয় মহিলা এমপি এবং এমপির পিএস’র নাম ভাঙিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এসব টাকা হাতিয়ে নেয় মামুন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আরাফাত হোসেন নিরাপত্তা প্রহরী মামুনের বিরুদ্ধে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা ও বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের নিরাপত্তা প্রহরী মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মামুনুর রশীদকে (৩৫) গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটে চাকুরির পাইয়ে দেওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ৬ আগষ্ট রাত ৯টায় দিনাজপুর শহরের কালিতলা থানা মোড়ে মা মিষ্টান্ন ভান্ডারে চুক্তি মোতাবেক ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে আরাফাত হোসেন। অবশিষ্ট ২০ হাজার টাকা চাকুরি পাওয়ার পর দেওয়া হবে বলে তাকে আশ্বস্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, গার্ড মামুনের বড় ভাই কোনো প্রকার লিখিত পরীক্ষা, ভাইবা বা ইন্টারভিউ ছাড়াই গত বিএন পি সরকারের আমলে চাকুরি নিয়েছে। তার নাম মাহাবুর রহমান লিটন। তিনি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদপ্রজনন বিভাগে বৈজ্ঞানিক সহকারি (এসএ) হিসাবে যোগ দেন। পরবর্তীতে অফিস চলাকালিন সময়ে কর্মচারী অফিস রুমে বিএনপির দলীও কর্মসুচি পালন করছিলো বলে- এই অপরাধে তাকে রংপুরে, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধীনস্থ বর্তমান সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্র, আলমনগরে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গার্ড মামুনের ভাই মাহাবুর রহমান লিটনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিটন নয় এবং সে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটেউটে চাকরি করে না বলে অস্বীকৃতি জানায়।
অভিযুক্ত গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটে নিরাপত্তা প্রহরী মামুনুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা ব্যবসার জন্য ঋণবাবদ নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র ক্ষতি করার জন্য তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
এদিকে, অভিযোগকারী আরাফাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি এখনও টাকা ফেরত পাননি। চাকরি দেওয়ার কথা বলেই টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন অস্বীকার করে। পরে শুনেছি এমন আরও অনেকের কাছ থেকেই টাকা নিয়েছে।