
ঢাকা: গার্মেন্টস্ অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতেকে আরো উন্নত করতে ‘ডাবল ইনসেনটিভ’ দেয়া উচিত বলে মনে করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
‘লেন ম্যানুফেকচারিং ইন গার্মেন্টস এক্সেসরিস এন্ড প্যাকিং ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাত একই সাথে আমদানি বিকল্প ও রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ শিল্প বিকাশের ফলে দেশিয় তৈরি পোশাক শিল্পখাতের মূল্য সংযোজনের সুযোগ বেড়েছে।’
গার্মেন্টস্ অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সামগ্রী উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সামগ্রীক গুরুত্ব বিবেচনায় এ শিল্পখাতে ডাবল ইনসেনটিভ দেয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর সুপারিশ করা হবে বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।
আমু বলেন, ‘সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে ২০১৮ সালের মধ্যে বিজিএপিএমইএ খাত থেকে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। এ খাতে আমাদের জন্য একটা সুযোগ এসেছে। অতএব এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এ খাতে পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানাও গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় স্থান। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে।’
বিজিএপিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট আবদুল কাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, সংগঠনের উপদেষ্টা প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ফিরোজ ইকবাল ফারুকী, রাফেজ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের পরিচালক সুষেণ চন্দ্র দাস, বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ ও সংগঠনের দ্বিতীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদন: দেলোয়ার মহিন, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ