
সপ্তর্ষি
পূর্ণ-চন্দ্র তার জ্যোৎছনায় মাঠ; আলো-ছায়া সবটুকু জানালায় ঘাট।
পূর্ণিমা গেল ভেসে পাহাড় সমেৎ… অনিন্দ সম্প্রীতি জলে ভরা শ্বেত।
পূর্ণিমা যুদ্ধে আসবে ফেরৎ; সবুজে সবুজ পাঠে মাঠে ছাতা।
সালাম নমস্ত মাতা তোমায় প্রণাম; তোমারে-ই পেলে বাবা ভাসবে যে …শ্যাম…
বাবার ডানগালে তিন কালো তিল; ভুবন ছড়াবে তাঁর জ্যোছনার …বিল… এ কোন প্লাবণ?
তোমাকে-ই রেখা দিয়ে বন্ধনী করে নিয়ে ভাসবে শ্রাবণ…
মাগো মা… …মা… আমার পিতার দ্বি-গুণ; কাঁদবে না দাগগুলো, রে… দেয়া জলহীন নুন ॥
ছুটির ঘন্টা
আজিজ মামা’র সাতটি আঘাতে-ই বিরতিহীন নিরবতায় হেঁটে আসে ক্লাস।
এভাবে-ই একই বিদ্যালয়ে প্রজন্মের পরম্পরা, গ্রহণ বর্জন; বেলটি আজও
…………………………………হাতুরি সমেৎ
শুধু আজিজ মামারা-ই সময়-বৃক্ষের এক একটি মরাডাল।
আদিতে কোন শিফট ছিল না, ঘণ্টা, হাতুরি, বেল… ; এক-ই জ্যোৎস্না ভাসায়…
একই ধ্বনি সময়ের স্রোত, ইতিহাস কাঁধে করে অনাগত মাঠ নিয়ে চষে…
ছেলেকে দিতে গেলে ফেরিওয়ালা মন অতীত ফেরায় ইতিহাস’র বাঁক।
পিতামহ হয়ে আমাদের… ; একার সন্যাসে আলো… বৈমানিক ঘুম।
কুরুক্ষেত্র জানিয়ে দেয় স্বপ্নের অতীত। দেখি: আঁধারের কথক- ঘুমহীন ঘুমের শরীর।
আগাছা সময় বেহালার সুর, ঢেউ তোলা টেউ। ঘণ্টা থেমে গেলে, থেমে যায় কেউ…
বেলটি সময়ের সংকেত-ধ্বনি… বাজাতে বাজাতে… টুনটুন ছুটির উঠান ভরা
……………………………………ঘণ্টা
……………………………………ধ্বনি…
বিচারাদেশ
অনেক খেয়েছি জল ডুবে ডুবে, প্রিয় উপস্থিতি
চান্দার বিলের দোহাই, বর্নি বাওরের কসম…
চার পুরুষের দিব্বি মধুমতি। করফার কইগুলো জানে,
শিং মাগুরেরা জানে তরুর বিল
আমারে জানি আমি।
স্বপ্রণোদিত জবানবন্ধীতে জানাতে এসেছি—
বিগত ও ভবিষ্যতের জবানী দিয়ে বর্তমানকে তুচ্ছ করে।
আমাকে-ই তুলে দিচ্ছি সভায়। পরোয়ানা আমার হাতে।
মুষ্টি উঠিয়ে বলছি—পারলে শুনুন?
কুসুমিত তৃষ্ণাকে খুন করে ফেরারী ছিলাম।
প্রলুব্ধ করেছি প্রণয়হীন পরিণতিকে, আমাকে ঝুলান।
আর আমি ফিরব না আগামীর মাঠে।
অনাগত জঙ্গল চাষের ভার জঙ্গলেরই থাক ।
বেচাকেনা
ছুটছি জানযট পেরিয়ে নিরন্তর গন্তব্যে
তুমি তখন রুটি বেলছো চাঁদ। সুখের উঠান
অসুখি পেঁচার ডাক, নিস্পলক চোখে ভোর
……………………….আজান
তবুও রাত জেগে দেখি—দিগন্তে ঘোর
ভাবনা চৌকাঠ পেরুলে গভীর অন্ধকার
হেঁটে যায় উয়ারী বটেশ্বর… পাটাতন ফেলে
বেহুলা বাসর। শোনা গেল এখান থেকেও
ছুটি নিয়ে মেহমানদারী করে জোছনার বাঁক
ঠিকাদারী ব্যবসা কাঁচামাল ঘাটতি মধ্য জুন
সামলাতে সামলাতে সব কিছু—শব। স্বপণে—
কতগুলি সাপ কামড়াতে আসে আমি
দিকবিদিক তখনো রুটি বেলছো তুমি
আমরা মাঝে মাঝে এমন-ই বিপরীত সাঁতার
জল ঘোলা করে বেঁচে থাকি। দোকান ঘোচাই…
আশির দশক
উঠোন ভর্তি সাদা-কালো টিভির বারান্দা, গমগমে হাসির উজান;
ভাটি শুধু কালু চাচার সোনালী বিড়ির ঘরে। শুক্রবার এলেই—
আশির দশক পাড়া হয়ে যেত, আমরা ক্যানভাস। বিটিভির সে-কি যৌবন…
একার সন্যাসে। ক্রমে-ই রঙিন হতে থাকা জ্যোৎস্না… হারাল গ্রাম।
চাঁদের বুড়ি রুটি না বেলে, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাই আগামীর হাঁটে।
কারেন্ট জালের লাহান ধরা খাওয়া সময়রা এক ঝাঁক আটকা পড়লে—
পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিও হাসতে হাসতে হাইব্রীড ক্যাপসুল খায়, ক্রমান্বয়
মোটাতাজা হতে থাকে জ্যোৎস্নার পল্লিগুলো। গরুগুলো কোরবানী
চাঁদ দেখতে দেখতে মাছেদের পঁচন রোগের ডাক্তার ডাকে ডাকতে…
ভুলে যায় হাম্বা ডাক। আমাদের বিদ্যুৎ বিহীন হারিকেন গুলো
…………………………..এক একটি যাদুঘর।
মানুষেরা কালো ধোঁয়ার ইঞ্জিন, খেয়ার মাঝিরা সব অমলেট খায়
রিক্সার প্যাডে শুয়ে পড়া অতীতগুলো এভাবে-ই…
আগামী দেখতে দেখতে রাতের অতলে ঘুড়ি উড়ায় আয়ুরেখা
…………………………….জ্যমিতিক ক্লোন