
ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এর প্রতিবাদ জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ঘণিষ্ঠ কিছু চিহ্নিত ব্যাবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা দিতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে নিষ্পেশনের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বল্গাহীনভাবে রাজস্ব আদায় করতেই সরকার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অল্পসময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়ানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফখরুল। এসময় তিনি অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কোনো কর্মসূচি দেয়া হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, নৈতিকতাবিহীন এবং এতে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ চাপে পড়বে।’
ফখরুল দাবি করেন, এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে একদিকে গ্যাসখাত উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের উপর বর্ধিত দামের বোঝা চাপ পড়ছে। আসলে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে দিন দিন জ্ঞানশূন্য হয়ে সকলক্ষেত্রে করের বোঝা বৃদ্ধির অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে। বলা হচ্ছে উচ্চমূল্যে গ্যাসের আমদানির কারণে গ্যাস সরবরাহ ব্যয় আগামীতে বাড়বে। তবে এই জন্য গ্যাসের আগাম দামবৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণশুনানীতে দামবৃদ্ধির বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য হলেও উচ্চমূল্যে আগামী এলএমজি আমদানির অজুহাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এর পেছনে এলপিইজি আমদানির করা হচ্ছে কারণ। বাস্তবে এলপিইজির দাম হ্রাস পেয়েছে। সরকারের কাছের ব্যবসায়ীদের এলপিইজি আমদানির সুযোগ করে দিতেই একটি লাইসেন্সরাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে সরকার। ফলে প্রতিযোগিতাহীন বাজারে কিছু মুখচেনা ব্যক্তি অনার্জিত মুনাফা গুনবে। জনগণ শোষণের যাতাকলে নিষ্পেষিত হবে।’
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ