
নয়াদিল্লি: ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঘুড়ি উড়ানোর সময় ধারালো সুতায় গলা কেটে দুই শিশুসহ তিন জন প্রাণ হারিয়েছে এবং এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দিল্লির বিভিন্ন স্থানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ভারতীয়রা বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি উড়ানোর আয়োজন করে। সেই মোতাবেক ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ি উড়ানোর সময় ৩ বছর বয়সি সাঁচি গোয়েল, ৪ বছরের হ্যারি এবং ২২ বছর বয়সি জাফর খান নামে এক তরুণ নিহত হয়।
ঘুড়ির সুতাকে ধারালো করার জন্য কাচের টুকরো গুঁড়ো এবং আঠা ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টিকে মাঞ্জা মারা বলা হয়। এর ফলে এই সুতা দিয়ে অন্যদের ঘুড়ি কাটা যায়। ঘুড়ি উড়ানোর মাধ্যমে অন্যের ঘুড়ি কাটার বিষয়টি জনগণকে ব্যাপক আনন্দ দেয়। কিন্তু এই আনন্দ মাঝে মাঝেই বিষাদে পরিণত হয়। কারণ ধারালো এই সুতায় প্রায় সময়ই অনেকেই আহত হয় এমনকি প্রাণও হারায়।
২০১৪ এবং ১৫ সালে একই রকম ঘটনায় ভারতের জয়পুর এবং মোরাদাবাদে ৫ বছর বয়সি দুটি শিশু মারা যায়।
অবশ্য কেবল মানুষই নয় ঘুড়ির ধারালো সুতার আঘাতে বিপুল সংখ্যক পাখির হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বিগত তিনদিনে দিল্লিতে পাখিদের একটি হাসপাতালে ৫০০ আহত পাখি নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবছর ঘুড়ির আঘাতে আহত ৮ হাজার পাখির চিকিৎসা দেয় তারা।
বর্তমানে দিল্লি সরকার জানিয়েছে, ঘুড়ির সুতায় মাঞ্জা দেয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে এবং জনগণকে এর বিপদের বিষয়টি তুলে ধরে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
প্রতিবেদন: ফারহানা করিম, সম্পাদনা-জাহিদুল ইসলাম