
ব্রাসেলস: তথ্য প্রযুক্তি খাতের জায়ান্ট ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং মাইক্রোসফট তাদের সাইটে পোস্ট করা ‘বিদ্বেষমূলক বার্তা’ মুছে ফেলার অঙ্গীকার করেছে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আচরণ বিধি সংক্রান্ত নতুন একটি খসড়ার প্রতি সমর্থন জানালো প্রতিষ্ঠানগুলি। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইন অপব্যবহারের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা প্রতিরোধ করাই এই খসড়ার প্রধান উদ্দেশ্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরণার্থী, অভিবাসী কিংবা বিদেশি এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ঘৃণার বার্তা পোস্ট করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা সরিয়ে ফেলার অঙ্গীকার করেছে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং মাইক্রোসফট। এছাড়া এসব সাইট ব্যবহারকারীদের গ্রহণযোগ্য আচরণ শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলি।
ইউরোপীয় কমিশন ফর জাস্টিসের ভেরা জুরোভা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সন্ত্রাসী গ্রুপের একটি অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে তরুণদের চরমপন্থী হতে উৎসাহিত করা হয়। যার পরিণতি ঘৃণা এবং সহিংসতা।’
এদিকে ইউরোপে টুইটারের পলিসি প্রধান কারেন হোয়াইট জানান, ‘তাদের সাইটে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানোর কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সহিংসতা ও ঘৃণা উস্কে দেয়ার মধ্যে প্রভেদ রয়েছে।’
সূত্র: বিবিসি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/টিএস