
চট্টগ্রাম: শহরের আনোয়ারায় একটি সার কারখানায় অ্যামোনিয়াম ফসফেটের বার্নাল বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পরা অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তত ৫০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্রতা কমাতে কাজ শুরু করে। রাত দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের আটটি গাড়ি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। গ্যাসের তীব্রতা কমাতে সেখানে কৃত্রিম বৃষ্টিও ছিটানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গার ১৫ নম্বর ঘাট এলাকার উল্টো দিকে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব পাড়ে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের কারখানায় সোমবার দিবাগত রাত ১১ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার পর অ্যামোনিয়া গ্যাস নদীর পশ্চিম পাড়ে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর ও হালিশহর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতে এ দুর্ঘটনার পর শহরের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে আরো জানা যায়, গ্যাসের তীব্রতার কারণে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য রাত একটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি হারুন উর রশীদ হাজারী বলেন, লোকজনকে আতঙ্কিত না হতে মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতিও প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদন ও সম্পাদনা: তুসা
আরো পড়ুন