
চট্টগ্রাম: পতেঙ্গা উপকূলে বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) জার্মানির শেল হরন ও হামবূর্গ পোর্ট কনসালটেন্টকে (এইচপিসিকে) কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছে।
বুধবার সকালে বন্দর ভবনে চবক চেয়ারম্যন রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল ও প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষে বেনজামিন লেজার এই সংক্রান্ত এক চুক্তিতে সই করেন। বন্দর ও প্রতিষ্ঠান দুটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চবকের পরিচালক অপারেশান জাফর আলম জানিয়েছেন, সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নিয়োগ হওয়া এই কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বে- টার্মিনালের আর্থিক ও কারিগরি সম্ভ্যবতা যাচাই করে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পেশ করবে।
গভীর সমুদ্র বন্দরের আদলে নির্মিতব্য বে- টার্মিনালের প্রথম অংশে ২০২১ সালের মধ্যে পণ্য ওঠানামা করানোর জন্য কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বন্দর সূত্রে জানাগেছে, ১৩টি প্রতিষ্ঠান কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য আগ্রহ পত্র দাখিল করেছিলো।
বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে পতেঙ্গা এলাকার প্রায় ৯০৭ একর জমিতে বে-টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। নৌ-মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে প্রকল্পটি সিডিএর অনুমোদনও পায়। ইতিমধ্যে এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় ১৩টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহপত্র জমা দিয়েছ।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র খ্যাত বন্দরের মাধ্যমে সমুদ্রপথে দেশের বহির্বাণিজ্যের প্রায় ৯৩ শতাংশ সম্পাদিত হয়। দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দর দিয়ে বর্তমানে বছরে ১৬ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ১৩ শতাংশ, যা দেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বন্দরের হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ মতে, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার শেষ প্রান্তে পতেঙ্গার অদূরে ধীরে ধীরে ১২ কিলোমিটার লম্বা চর জেগেছে। এ চর ও উপকূলের মাঝামাঝি প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার প্রশস্ত জাহাজ চলাচলের পথ বা চ্যানেল তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর ক্ষেত্রে জাহাজের দৈর্ঘ্য ও গভীরতার যে সীমাবদ্ধতা আছে, নতুন চ্যানেলে তা নেই। এ কারণে নতুন চ্যানেল ঘিরে নতুন বন্দর তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে সমীক্ষা চালায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/জাই