
চট্টগ্রাম: বন্দরের বহি:নোঙ্গর ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট চারটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। ডুবে যাওযা জাহাজগুলোর অধিকাংশ নাবিক নিরাপদে উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ আছেন দুইজন।
লাইটারেজ জাহাজ মালিকদের সংগঠন ওয়াটার টান্সপোর্ট কো অডিনেশন সেলের জয়েন্ট সেক্রটারী আফতাবুল কবির রঞ্জু জানিয়েছেন, ঘন কুয়াশায় অন্য জাহাজের সাথে সংঘর্ষ ও ডুবো চরে আটকা পড়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ দুই নাবিকের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলেও জানান তিনি।
ডুবে যাওয়া জাহাজ চারটি হচ্ছে-এমভি লেদস ওয়ান, এমভি মজনু, এমভি জারনি দারসাব ও এমভি গ্লোরি অব শ্রীনগর- ফোর।
এর মধ্যে সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই এমভি লেদস ওয়ান ডুবেছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহি: নোঙ্গরের পতেঙ্গা উপকূলের কাছে। অন্য একটি জাহাজের ধাক্কায় তলা ফেটে এটি ডুবে যায়। কোস্টগার্ডের জাহাজ সিজিএস তৌহিদ ও দুটি স্পীড বোট ঘটনাস্থলে গিয়ে এই জাহাজের তেরোজন নাবিককে উদ্ধার করেছে।
বহি: নোঙ্গর থেকে রক- ফসফেট নিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরের টিএসপি জেটিতে আসার সময় এমভি মজনু নামের জাহাজটি পতেঙ্গা উপকূলের কাছে ডুবে গেছে। এর নাবিকদের স্থানীয় জেলে ও আশপাশের জাহাজের নাবিকরা উদ্ধার করেছে।
এমভি জারিন দারসাব জাহাজটি বন্দরের বহি: নোঙ্গর থেকে চিনি উৎপাদনের কাঁচামাল নিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় সন্দ্বীপের পশ্চিমে জাহাজের চর এলাকায় ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। এর নাবিকদের অধিকাংশ সাতরে জাহাজের চরে উঠতে পারলেও এখনো দুই জন নিখোঁজ আছে।
বঙ্গোপসাগরের ‘সন্দ্বীপ শোল’এলাকায় এমভি টিটু নামের একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় এমভি গ্লেরি অব শ্রীনগর ফোর। ভুট্টা বোঝাই ডুবে যাওয়া জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলো। এই জাহাজটির নাবিকদেরকে আশপাশের জাহাজগুলো উদ্ধার করেছে।
লাইটারেজ জাহাজ মালিকদের সংঘটন ওয়াটার টান্সপোর্ট কো অডিনেশন সেলের জয়েন্ট সেক্রেটারী আফতাবুল কবির রঞ্জু বলেছেন, গতরাতে বঙ্গোপসাগরে ঘন কুয়াশা ছিলো। মূলত: এই কারণে এতগুলো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
গত চব্বিশ বছরের ইতিহাসে একসাথে এত দূর্ঘটনা নজিরবিহিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবগুলো ঘটনা পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিখোঁজ এমভি জারিন দারসাবের দুই নাবিকের সন্ধানে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উদ্ধার ও তল্লাশী চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদক: সালেহ নোমান, সম্পাদনা: জাবেদ