
চট্টগ্রাম: ঘটনার সূত্রপাত নগরের জিইসি মোড়ে। সকাল বেলার চলমান দৃশ্যের মাঝেই মায়ের হাত ধরে স্কুল যাওয়া ছেলেটি কিছু বুঝে উঠবার আগেই বুঝতে পারে পৃথিবীতে তার সব চেয়ে আপনজন রক্তাক্ত। তার সামনেই লুটিয়ে পড়েছেন মা।
দুবৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারান এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। তারপর পাল্টে গেছে বন্ধর নগরীর দৃশ্যপট। জনমনে আতঙ্ক, পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে, থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে জিইসি মোড় থেকে আশেপাশের সকল এলাকায়।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, বাবুল আক্তারের মতন সাহসী অফিসারের কারনেই চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন সম্ভব হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে এমন আক্রমণ হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মটিভ তা বলছে না’।
চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় বাবুল আক্তার এক ফকির ও তার খাদেম হত্যা এবং বোমায় ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার দুটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জেএমবির একটি আস্তানার সন্ধান পান।
সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ জেএমবি নেতা জাবেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত অক্টোবর মাসে পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকাবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন জাবেদ।
ঠিক কি কারণে, কারা বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যা করেছে তা স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলে র্যাব, পুলিশ, ডিবি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাজ করছে। ঘটনাস্থলে তারা তিনটি অব্যবহৃত গুলি ও একটি গুলির খোসা পেয়েছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/এমআইআর/এসআই