
আসাদুজ্জামান, নিউইয়র্ক থেকে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ মুহুর্তের প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে আক্রমণ করে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করছেন। প্রচারনায় চলছে নানা ধরণের নাটকীয়তা।
তবে গত শুক্রবার এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হিলারী ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদাণের ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। ডেমোক্রেটিক দলের সমর্থকদের বক্তব্য হচ্ছে, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে এ ধরণের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের মতে, এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে জেমস কোমি হ্যাচ এ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছেন। এই আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তাব করতে পারে এমন কর্মকান্ডে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা তিনি লঙ্ঘন করেছেন বলে তারা অভিযোগ করছেন।
নিউইয়র্কে বসবাসরত বেশিরভাগ বাংলাদেশী যারা হিলারী ক্লিনটনের সমর্থক, তারা নতুন এই বির্তকে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের মতে, যদিও হিলারী জনপ্রিয়তায় এখনো এগিয়ে আছেন। কিন্তু শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের নোংরা প্রচারণা চলতে পারে, যা নির্বাচনের ফলাফলে অপ্রত্যাশিত প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে হিলারী ক্লিনটন এফবিআই পরিচলেকের কাছে সব ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য অবিলম্বে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। আইওয়াতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের জীবদ্দশায় সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচণের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট চলছে। আমেরিকার জনগন অবিলম্বে সব ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানার অধিকার রাখে। (এফবিআই) পরিচালক নিজেই বলেছেন তিনি জানেন না তার চিঠিতে যে ইমেইল-এর উল্লেখ আছে তা গুরুত্বপূর্ণ কি-না। আমি আত্মবিশ্মাসী তাতে যাই থাকুক না কেন জুলাইয়ে (তদন্তের) যে পরিণতি ছিল তাতে পরিবর্তন হবে না।’
প্রেসিডেন্ট ওবামা নির্বাচনকে সামনে রেখে হিলারীর পক্ষে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ফ্লোরিডায় এক জনসভায় তিনি নেতিবাচক প্রচারণা অগ্রাহ্য করার জন্য সমর্থকদের আহবান জানিয়েছেন।
- চাপের মুখে এফবিআই
নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে হিলারীর ইমেইল ব্যবহারের ঘটনা তদন্ত পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়ে ডেমোক্রেটদের তীব্র সমালোচরার মুখে পড়েছেন এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি। অনেকেই মনে করেন তার পদক্ষেপ সংগঠনটির নীতি ও আইনের পরিপন্থী। এ কারণে তার পদত্যাগ করা উচিত।
- মার্কিন নির্বাচনের ব্যালটে বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালটে বাংলা ভাষাও যুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা থাকবে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যান প্রার্থীর ব্যালটে। নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সুবির্ধাতে বাংলাদেশী পোলিং অফিসার, বাংলা দোভাষী, ভোট কেন্দ্রের দিকনির্দেশনা বাংলায় থাকবে। ৮ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন উপলক্ষে স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রকাশ: তুহিন