
নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত ভারতের আইকনিক বাঘ ‘মছলি’, বৃহস্পতিবার ভোরে রাজস্থানের রনথম্বোর ন্যাশনাল পার্কে ১৯ বছর বয়সে মারা যায়। রনথম্বোরের রাণী হিসেবে বাঘটি বেশ জনপ্রিয় ছিল।
মছলি বিশ্বজুড়ে বন্য পরিবেশে বেঁচে থাকা বাঘদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক বাঘিনী ছিল। সাধারণত প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঘ এতদিন বেঁচে থাকে না। মৃত্যুর চারদিন আগে থেকেই মছলি অসুস্থ হয়ে যায়। সে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয় এবং অর্ধচেতন অবস্থায় ছিল। অথচ এর আগে দৈনিক ৪ কেজি মাংস খেতো সে।
রনথম্বোরের মাঠ পর্যায়ের পরিচালক যোগেশ কুমার সাহু জানান, মছলি ১৯ বছর বেঁচে ছিল। মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে এটিকে ১১০-১২০ বছর পর্যন্ত বলা যেতে পারে। সাধারণত বাঘ গড়ে ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
১৯৯৭ সালে জন্ম নেয়া বাঘিনীটির মুখে মাছের আকৃতির ছাপ থাকার কারণে এটির নাম দেয়া হয় মছলি। পরবর্তীকালে সে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা বাঘের মর্যাদা পায়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা তাকে একনজর দেখার জন্য রনথম্বোরের বনে আসতে থাকে।
মছলির মৃত্যুর খবরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে টুইটারে দুঃখপ্রকাশ করেন। বন্য প্রাণী নিয়ে করা বিভিন্ন তথ্যচিত্রে মছলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিখ্যাত একটি ‘টাইগার কুইন’।
মছলি ‘লেডি অব দ্য লেক’ নামেও পরিচিত ছিল। কারণ প্রায় সময়ই পার্কের ভিতর জলাশয়ে তাকে দেখা যেতো।
বিশাল আকৃতির একটি কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে তাকে হারিয়ে দেয়ার পর মছলির খ্যাতি বেড়ে যায়। কিন্তু সেই লড়াইয়ে জয়ী হলেও কিছু ক্ষতিপূরণও দিতে হয় তাকে। সেসময় মছলির বেশিরভাগ দাঁতই পড়ে গিয়েছিল। বিগত ১৬ বছরে ৯টি শাবকের জন্ম দিয়েছে মছলি।
ভারতে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি বাঘের বাস। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে ২ হাজার ২২৬ টি বাঘ রয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
প্রতিবেদন: ফারহানা করিম, সম্পাদনা-জাহিদুল ইসলাম