
ঢাকা: চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত চীনের গুয়াংডন প্রদেশের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতা লিউ ফাং।
মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ সফররত চীনের গুয়াংডন প্রদেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যকার মতবিনিময় সভায় এক কথা বল্রন তিনি। চায়না কাউন্সিল ফর দি প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অফ ঝাওকিং সিটি’র ডিরেক্টর জেনারেল লিউ ফাং প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের অক্টোবরে চীনের গুয়াংডন প্রদেশে মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। এতে চীনের বাজারে আরো বেশি দেশিও পণ্য রফতানির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।’
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ গত ১৫ বছর যাবত ছয় শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ তিন মিলিয়ন লোক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে।’ তিনি বিশাল এ শ্রম বাজারের সুযোগ নিয়ে চীনের উদ্যোক্তাদের আরো বেশি হারে বিনিয়োগের আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সম্প্রতি সরকার সারা দেশে ১০০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে চীনের উদ্যোক্তারা তৈরি পোষাক, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক চামড়া, তথ্য-প্রযুক্তি ও পাদুকা শিল্পে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।’
বৈঠকে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি আতিক-ই-রাব্বানী, এফসিএ, পরিচালক আসিফ এ চৌধুরী, সেলিম আকতার খান, প্রাক্তন সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, এম আবু হোরায়রা, প্রাক্তন পরিচালক এম বশির উল্ল্যাহ ভূঁইয়্যা এবং ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদন: দেলোয়ার মহিন, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ