
জয়পুরহাট: নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে ওই গোলাগুলির ঘটনায় সদর থানার ওসিসহ তিন পু্লিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ভাদসা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত নিহত দুই আসামি হচ্ছেন মো. সোহেল (২৫) ও তার সহযোগী মনিরুজ্জামান মনির (২৫)। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি হাসুয়া উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, নিহত সোহেল একে আজাদ হত্যা মামলায় জড়িত ছিল। অন্য আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে তার জড়িত থাকার বিষয়ে দাবি করছে পুলিশ।
৪ জুন রাতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ দূর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে কোচকুড়ি গ্রামে ফেরার পথে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী গ্রামের কাছে তার গতিরোধ করে কুপিয়ে ও গুলি করে মারাত্মক আহত করে।
তার চিৎকারে নয়ন কুমার নামের একজন এগিয়ে এলে তাকেও গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত দুজনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পেটে অস্ত্রপাচার শেষে আইসিইউতে রাখার পর গত শুক্রবার তাকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত রোববার (১২ জুন) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আজাদ সদর উপজেলার কোচকুড়ি গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর ছেলে। তিনি ভাদসা ইউপি থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসআই