
ডেস্ক: আর্সেনালের বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষে আটে প্রায় পৌঁছেই গেল বায়ার্ন মিউনিখ। থিয়াগো আলকান্তার জোড়া গোলে প্রথম লেগে গানারদের ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। আর একটি করে গোল করেন আরিয়েন রোবেন, রবার্ট লেভান্ডভস্কি ও থমাস মুলার।
সর্বশেষ ছয়বারই চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে বাদ পড়েছে আর্সেনাল। ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার প্রথম নকআউট স্টেজ থেকে টানা সপ্তমবারের মতো বাদ পড়ার পথেও এগিয়ে গেল আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে কাল ২০০ চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল হজমের লজ্জাও সঙ্গী করেছে আর্সেনাল।
ঘরের মাঠে ম্যাচের একাদশ মিনিটেই বায়ার্নকে এগিয়ে দেন আরিয়েন রোবেন। ডগলাস কস্তার পাস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের অসাধারণ বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডাচ স্ট্রাইকার। তবে ৩০ মিনিটে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান অ্যালেক্সিস সানচেজ। গোলটি ছিল নাটকীয়। পেনাল্টি পেয়েছিল অতিথিরা। তবে সানচেজের স্পটকিক ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার। কিন্তু গোলমুখের সামনে খেলোয়াড়দের জটলার মধ্যে ফিরতি বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান চিলিয়ান স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। তখনো কে জানতো, গত মৌসুমের দুঃস্বপ্নটাই অপেক্ষা করছে আর্সেনালের সামনে! দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ফিলিপ লামের ক্রস থেকে হেডে বায়ার্নকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তিন মিনিট পরেই লেভানডফস্কির ব্যাকহিল থেকে পাওয়া বলে গোল করে ব্যবধান বাড়ান থিয়াগো আলকান্তারা।
৬৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন আলকান্তারা, স্কোরলাইন হয়ে যায় ৪-১। আর ৮৮ মিনিটে আর্সেনালের কফিনে পঞ্চম পেরেক ঠুকে দেন থমাস মুলার। শেষ দুটি গোলেই বায়ার্নের খেলোয়াড়দের কৃতিত্বের চেয়ে আর্সেনালের ডিফেন্ডারদের দায়টাই ছিল বেশি!
সম্পাদনা: জাবেদ চৌধুরী