
ঢাকা: ছাত্রদলকে সু-সংগঠিত হয়ে গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রসমাজের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের আবারো এক হয়ে গণতন্ত্র হারা দেশকে গণতন্ত্র ফিরে দিতে হবে। সেই লক্ষে একত্রিত হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।
ফখরুল বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকে আওয়ামী লী সরকার গুম, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার এবং হ্ত্যা করেছে। এখনও অনেক ছাত্র নেতা বাড়িতে থাকতে পারে না। হাজার হাজার ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশে আর কিছু বাকি নেই। সরকার দেশের অর্থনীতি, কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্যকে ধ্বংস করেছে। সরকার মুখে মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে যে দেশের উন্নতি হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরা যারা পড়াশুনা করছে তারা যে পাস করে চাকরি পাবে তার কোনো নিরপত্তা নেই। চাকরি করতে গেলেই ঘুষ।
গণতন্ত্র হত্যাকারী স্বৈরাচার এরশাদের সমালোচান করে তিনি বলেন, এরশাদ আজ তাদের সমাবেশে বলেছেন তিনি নাকি আরো বেঁচে থাকতে চান। এর পরে হয়তো তাকে প্র্রেসিডেন্ট বানাতে হবে। দেশের কেউ এ্ই স্বৈরাচারকে বিশ্বাস করে না কিন্তু শেখ হাসিনা তাকে বিশ্বাস করে। তার দূত বানিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া সংগ্রাম চায় না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন খালেদা জিয়া। তাই দেশের সংকট আলোচনার মধ্যামে সমাধান করতে চান। সার্চ কমিটি গঠন এবং নির্বাচন কমিশন নিয়ে খালেদা জিয়া যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন তাতে জনগণের মতের প্রকাশ ঘটেছে। আশা করছি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। প্রস্তাবনা মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে দিবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান সহ ছাত্রদলের নেতকর্মীরা।
প্রতিবেদক: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: জাহিদ