
স্পোর্টস রিপোর্টার, ভারত (শিলিগুড়ি) থেকে: স্থানীয় কোচদের মধ্যে দারুণ সফল গোলাম রব্বানী ছোটন। তার হাত ধরেই মহিলা ফুটবল নতুন ইতিহাস রচনা করেছে সাফ ফুটবলের ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে। ফাইনালের রঙ্গীন মঞ্চে পা রাখায় একটা ট্রফি নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশ দলের। গোলাম রব্বানী ছোটনের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল সাফের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের হাত থেকে দেশের হয়ে একটি ট্রফি নেয়ার। নিজের সে স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন সেমি ফাইনালের আগেই। কিন্তু না, ছোটনের সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। সালাউদ্দিনের হাত থেকে ট্রফি নেয়া হলো না তার। কারণ পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়িতে পা রাখেননি সাফের সভাপতি।
সাফ সভাপতি হিসেবে দারুণ সফল কাজী মোহাম্মদ সালউদ্দিন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে নিয়মিত করেছেন। বষয়ভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টও মাঠে নামিয়েছেন। মহিলা ফুটবলও শুরু হয়েছে তার মেয়াদে। চলতি বছর মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে সাফ ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ। এতো কিছুর পরেও ব্যক্তি সালাউদ্দিনের একটি অপূর্ণতা ছিলো। সাফ সভাপতি হিসেবে দেশের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার। প্রায় এমন কথা বলতে শোনা গেছে তার মুখে। এবার সুযোগ ছিলো মহিলা দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার। অথচ শিলিগুড়ির সাফ মহিলা ফুটবলের ফাইনালে অনুপস্থিত তিনি।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করার পর পরই সাবিনা-কৃষ্ণাদের গুরু টিম হোটেলে বসেই জানিয়েছিলেন নিজের স্বপ্নের কথা। বলেছিলেন, ‘স্বপ্নটা আমার অনেক দিনের। কাউকেই বলিনি। এখন সময় এসেছে সে স্বপ্ন প্রকাশ করার। সাফ সভাপতি হিসেবে সালাউদ্দিন ভাইয়ের হাত থেকে একটা ট্রফি নেয়ার।’ কিন্তু কোচের সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। সাফ সভাপতি হিসেবে ফাইনালের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে না আসার কারণ সম্পর্কে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘ভিসা জটিলতার কারনেই উচ্ছে থাকা সত্বেও আসতে পারেননি তিনি।’
প্রকাশ: তুহিন