
ঢাকা: দক্ষিণখানের আশকোনার ওই বাড়ির ভেতরে থাকা নারী জঙ্গি আত্মঘাতী বা সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বিস্ফোরণে ভেতরে থাকা সাত বছরের এক শিশুর হাত পা ঝলসে গেছে। আহত হয়েছেন বোম ডিসপোসাল ইউনিটের ইন্সপেক্টর শফি আহমেদসহ কয়েকজন।
শনিবার দুপুর একটার দিকে ভেতর থেকে দরজা খুলে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় ওই নারী। তার দেহ মাটিতে লুটিয়ে আছে। ওই ঘটনায় আহত সাত বছরের শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভেতরে রয়েছে জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ১৪ বছরের ছেলে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “জঙ্গি ইকবালের সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন জঙ্গি সুমনের স্ত্রী। এরপরই তিনি সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান। এতে ওই নারী, শিশুসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারী পার্কিং গ্রাউন্ডে পড়ে আছে।”
শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণখানের আশকোনার ওই বাসায় জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পায় পুলিশ। পরে রাত দুইটার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। জঙ্গিদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকালে ওই বাসা থেকে রূপনগরে নিহত জঙ্গি জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা ও তার মেয়ে এবং জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষা ও তার সন্তান আত্মসমপর্ণ করে। তাদের ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওই চারজনের আত্মসমর্পণের পর বাড়িটিতে তানভীর কাদেরীর ছেলেসহ তিনজন অবস্থান করছিলো। পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বাড়িটি ঘিরে জঙ্গিদের গান পয়েন্টে রেখে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা হামলার চেষ্টা চালালে পুলিশ রুমের ভেতর টিয়ারসেল ছুঁড়ে। এর কিছুক্ষণ পরই ওই নারী জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: ময়ূখ