
ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় যে তিনতলা বাড়িতে পুলিশ ঘিরে রেখেছে, সে বাড়িতে এখনো তিনজন জঙ্গি অবস্থান করছে। তাদের একজন আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ১৪ বছরের ছেলে। ওই কিশোর শরীরে গ্রেনেড বেঁধে পুলিশকে প্রতিরোধ করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বাড়িটি ঘিরে জঙ্গিদের গান পয়েন্টে রেখে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানাচ্ছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযান চলাকালে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণখানের আশকোনায় ৫০ নম্বর বাসায় জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পায় পুলিশ। রাত দুইটার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। আমরা জঙ্গিদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানাই।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেন, এক পর্যায়ে ভেতরে থাকা ৭ জনের মধ্যে ৪ জন আমাদের কাছে আত্মসমর্পন করে। এই চারজন হলেন, রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার সাবেক মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা, তার মেয়ে এবং আরেকজন জঙ্গি মুসা যিনি পলাতক রয়েছে, তার স্ত্রী এবং তার মেয়ে। আত্মসমর্পনকালে একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি তারা আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। তাদের গোয়েন্দা শাখার প্রধান কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরো বলেন, “বাসাটির ভেতরে এখনো তিনজন জঙ্গি রয়েছে। তাদের একজন আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ছেলে। বাকি দুজনের পরিচয় আমরা জানি না, তবে তাদের মধ্যে মহিলা রয়েছেন।”
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং আত্মঘাতী সরঞ্জামও রয়েছে। এই বাসার মধ্যে আরো উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক, পিস্তল, রিভলবার রয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট টিমের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা তাদের সাথে কথা বলছেন এবং আমরা এখনো তাদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য তাদের গ্রেফতার করে সকল গোপন তথ্য সংগ্রহ করা। এখনো জঙ্গিদের আত্মসমর্পন করতে রাজি করানো যায়নি। তবে আমরা তাদের ঘিরে রেখেছি, গান পয়েন্টে রেখে আলোচনা করছি।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: প্রণব