
ময়মনসিংহ: নান্দাইলে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলাকারী জঙ্গি শফিউল ইসলামের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।শনিবার বিকালে জেলা পুলিশ শফিউলের মা নার্গিস সুলতানার কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেলের লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় নার্গিস সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘শফিউলের বয়স কম, তাকে যা শেখানো হয়েছে সে তাই শিখেছে। আগে কখনো বুঝতে পারিনি সে ওই পথে যাবে। শোলাকিয়া হামলার পর পত্রিকায় তার ছবি দেখে আমরা জানতে পেরেছে সে জঙ্গি। শফিউলকে মেরে না ফেলে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলে আমি তার কাছ থেকে অনেক তথ্য বের করে দিতে পারতাম। যারা তাকে জঙ্গি বানিয়েছে আমি তাদের বিচার চাই।’
নার্গিস জানান, শফিউলের লাশ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর উত্তর পাড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধে নিহত অপর জঙ্গির পরিচয় এখনো নিশ্চিত না হওয়ায়, ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে পুলিশ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলার ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য, এক নারী ও সন্ত্রাসীসহ চারজন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা করা হয় সন্দেহভাজন হামলাকারী শফিউলকে।
এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে শফিউলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে কিশোরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় নান্দাইলে র্যাবের গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সে সময় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শফিউলসহ দুই জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে র্যাব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও কর্তব্য পালনে বাঁধার অভিযোগে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস