
ঢাকা: আওয়ামী লীগ ২০১৯ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে মন্তব্য করে দলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যার যার এলাকার জনগনের কাছে যেয়ে ক্ষমা চান। তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে আমি মনে করি লজ্জার কোন কারণ নেই।’
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে তিন নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাদের আচরণ একটু খারাপ, ব্যবহার একটু খারাপ, জনপ্রতিনিধি হয়ে অহংকারে যাদের পা মাটিতে পড়ে না, ক্ষমতার অহংকারে যারা জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। শুদ্ধ হয়ে যান, কারেকশন করেন, সংশোধন করুন। যিনি যে এলাকার, তিনি এলাকার জনগণের কাছে ক্ষমা চান। জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে কি আমাদের লজ্জা আছে? যারা আমাদের নির্বাচিত করেছে, তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে আমি মনে করি লজ্জার কোন কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘তা না হলে আমাদের এতো অর্জন এবং উন্নয়ন কারো খারাপ আচরণের কাছে জিম্মি করতে পারি না। তাই বলতে চাই শৃংখলা ভঙ্গ করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। আমাদের এতো অর্জনকে ধুলিস্বাত করতে পারি না।’
গুলিস্তানে হকারদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কারের ঘটনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘ভাষণ কম এ্যাকশন বেশি, কথা কম কাজ বেশি। এ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে তাই সাবধান।’
আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন নেতাদের খুশি করার দরকার নেই, এখন খুশি করতে হবে দেশের জনগনকে। দেশের মানুষকে খুশি করা এখন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রধান কাজ। দলের মধ্যে সরকার হারিয়ে যাবে কিন্তু সরকারের মধ্যে দল হারিয়ে যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘সময় আসলে যেন পাই। সুসময়ে অনেকে গলা ফাটিয়ে বক্তিতা করেন, সুসময়ে বসন্তের কোকিল অনেক। আর দু:সময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও অনেককে খুঁজে পাওয়া যায় না। চোরাই পথে অনেকে পালিয়ে যায়। এ নেতাকর্মী দিয়ে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া যাবে? তাই সুসময় আর দু:সময় মনে রাখতে হবে।
মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আওয়ামী লীগ মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ উপস্তিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: ইয়াছিন রানা, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ