
ডেস্ক: বাংলা কবিতাঙ্গনের বিস্ময় জীবন্ত কিংবদন্তী, প্রেম-প্রতিবাদ- দ্রোহ আর বিরহের কবি হেলাল হাফিজের ৬৯তম জন্মদিন শুক্রবার। বাংলা কবিতার এই কবিতার রাজপুত্র ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম খোরশেদ আলী তালুকদার এবং মাতার নাম কোকিলা খাতুন।
নেত্রকোনা শহরেই কাটে তার শৈশব, কৈশোর ও প্রথম যৌবন। ১৯৬৫ সালে নেত্রকোনা দত্ত হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ওই বছরই কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান যখন তুঙ্গে, এর আঁচ এড়াতে পারেন কোন সংবেদনশীল মানুষ? কবি হেলাল হাফিজও পারেননি। যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সশস্ত্র ডাক দিলেন তার ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’- তে ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’- তার এই অমর পঙ্ক্তিযুগল পাণ্ডুলিপি থেকে উঠে আসে মিছিলে, স্লোগানে আর এই ভূখণ্ডের দেয়ালে দেয়ালে।
১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রিত এই কাব্যগ্রন্থ হেলাল হাফিজকে এনে দেয় ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা। সন্দেহ নেই, তার সমসাময়িক তো বটেই, বাংলা ভাষার আর কোনো কবিই এত কম কবিতা লেখেননি। কিন্তু পাঠক প্রিয়তায়, কিংবদন্তিতে তার সমকক্ষ দ্বিতীয়জন আর পাওয়া যাবে না।
কবিতার জন্য হেলাল হাফিজ পেয়েছেন যশোহর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), এবং ২০১৪ সালের বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
তার সৃষ্টিশীল জীবন আরো দীর্ঘ হোক-এটাই প্রত্যাশা বাংলা কবিতার এই জীবন্ত কিংবদন্তী জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই।
সম্পাদনা: শিপন আলী