
ঢাকা: দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার দুপুরে দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা, সারাদেশে বন্যাদুর্গতদের দু:খ-দুর্দশা এবং দলের কারাবন্দী, গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মীদের কথা ভেবে এবার জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া।
শুধু তাই নয় ১৫ আগস্ট দলের চেয়ারপারসনের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন গুলোও কেক কাটবে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
প্রসঙ্গত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন উদযাপন করলেও গত বছর পাসপোর্টের একটি কপি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। তাতে দেখা যায় তার জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬।
আগস্ট এলেই জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। সারাদেশে যখন শোকের আবহ থাকে তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন নিয়ে প্রতি বছরই বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
গত বছর এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আপনি দয়া করে ১৫ আগস্ট আপনার জন্মদিন পালন না করে ১৬ বা ১৭ তারিখ করেন। আপনি তো ইচ্ছা করে ১৫ তারিখ জন্মদিন পালন করেন। ১৫ তারিখ তো আপনার জন্মদিন না।’
ওই বছরই জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক না কাটার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় নেতাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। তাদের নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করতে হবে।’
পরবর্তীতে চলতি বছরে অনুষ্ঠিত দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলেও তিনি জাতীয় নেতাদের সম্মান করতে সব দলকে আহ্বান জানান। ধারণা করা হচ্ছে, তার এই অবস্থানের কারণেই জাতীয় শোক দিবসের প্রথম প্রহরে জন্মদিনের কেক না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেগম জিয়া।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস