
ঢাকা: হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিতে ‘পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের প্রতিবাদে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবারও ক্যাম্পাসে ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ক্যাম্পাস ও অন্যান্য পয়েন্টে পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষকদের বাস থামিয়ে অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে, প্রধান ফটকের অর্ধেক অংশ কর্তৃপক্ষ কেটে ফেলায় সেটিতে তালা দিতে না পারলেও সবক’টি ভবনেরই ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়ে দেন ভিসি ড. মীজানুর রহমানের কার্যালয় ভবনেও। একইসাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চালায়। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
নতুন হল নির্মাণ ও নাজিমউদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) স্থায়ীভাবে লিজ দেওয়ার দাবিতে আগস্টের প্রথম থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বংশাল এলাকায় তাদের ‘বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে’। তৎক্ষণাৎ শিক্ষার্থীরা নয়াবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ পালন করতে থাকেন। এরপর দুপুরে শিক্ষার্থীরা ২৩ ও ২৪ আগস্ট ধর্মঘট কর্মসূচি ডাকেন।
প্রতিষ্ঠার প্রায় ১১ বছর পার হলেও এই মুহূর্তে কোনো হল নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)। এর আগে ২০০৯, ২০১১, ২০১৪ সালে হল নিয়ে জোরালো আন্দোলন হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনের সময় প্রশাসন কিছুটা দৌড়ঝাপ দেখালেও পরবর্তী সময়ে আর কোনো তৎপরতাই দেখা যায় না তাদের।
শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, আওয়ামী লীগ, বামপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলসহ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগেরও।
প্রতিবেদন: জয়ন্ত কুমার, সম্পাদনা: মাহতাব শফি, ইয়াসিন
আরো পড়ুন